মিরু হাসান বাপ্পী,বগুড়া জেলা প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় আমন ধানে ব্যাপক হারে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। ধানক্ষেতে কীটনাশক ব্যবহার করেও কোন ফল পাচ্ছেন না কৃষক। এছাড়া পোকা দমনে মাঠে কৃষি বিভাগের কোন লোকজনের দেখা মিলেনা বলে দাবি করেছেন তারা। ফলে রোপা আমন ধান উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়ায় আশংকা দেখা দিয়েছে।
আদমদীঘি উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানা যায়, উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়ন মিলে চলতি রোপা আমন মৌসুমে ১২ হাজার ৩ শত হেক্টর রোপা আমন ধান চাষ করা হয়েছে।
শালগ্রাম, তেতুলিয়া শিবপুর, বেজার শিয়ালশন, কোমারপুর, কসাইগাড়িসহ বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ মাঠেই ধানগাছের পাতা রোগে আক্রান্ত হয়ে সাদা রুপ ধারন করে গাছ পচে মরে যাচ্ছে। বিশেষ করে উচ্চ ফলনশীল ব্রি-৫১ ও স্বর্ণা-৫ জাতের ধানে পোকার আক্রমন বেশি লক্ষ্যকরা যায়। আবার কিছু ধান ক্ষেতে খোলপচা, মাজরা পোকা ও কারেন্ট পোকার আক্রমনে উঠতি আমন ধানে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হচ্ছে। কৃষকরা ধানক্ষেতে পোকা দমনে আক্রান্ত জমিতে ৪/৫ বার বিভিন্ন কীটনাশক প্রয়োগ করেও কোন ফল পাচ্ছেনা। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা।
কৃষক আমজাদ হোসেন, হামিদুল, বেলাল, জাহাঙ্গীর হোসেনসহ অনেকেই জানান, এবার আমন ধানের আবাদ ভাল হলেও বৈরী আবহাওয়ার কারনে অধিকাংশ ধান ক্ষেতে এক শ্রেনির মাজরা পোকা, কারেন্ট পোকা, পাতা খেকো পোকা ও খোলপচা রোগে ব্যাপক হারে আক্রান্ত হয়েছে। এসব পোকা দমনে এমাটাফ, বিউটি, কার্টাপ্রিড, এমিষ্টার টপসহ বিভিন্ন কোম্পানীর কীটনাশক ব্যবহার করেও কোন ফল মিলছেনা। তাদের জমিতে ধানক্ষেতে পোকার আক্রমন দেখা দিলেও উপজেলার কৃষি অফিসের লোকজনের দেখা মিলে না। তারা নির্ধারিত কিছু স্থান ছাড়া অন্য কোথাও যায়না।
আদমদীঘি উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মিঠু চন্দ্র অধিকারি বলেন, কিছু জমিতে মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা দিলেও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ মাঠ পরিদর্শন করে থাকেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।